গেমিং মাউস কেনার আগে যে বিষয় গুলো জানতে হবে এবং মাউস কেনার আগে করনীয় ?

গেমিং মাউস এবং সাধারন মাউস এর মধ্যে পার্থক্য অনেকেই বুঝে না। সাধারন এবং গেমিং মাউস এর মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। সাধারন মাউস দিয়ে যেমন গেমিং করা যায় না তেমনি গেমিং মাউস দিয়ে সাধারন কাজ করা যায় না। গেমিং মাউসের DPI , Polling rate , Sensitivity অনেকটাই সাধারন মাউসের থেকে আলাদা হয়ে থাকে। তাই আমাদের অবশ্যই গেমিং মাউস কেনার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ন কিছু তথ্য যেনে নেওয়া দরকার।

অনেকের কাছেই গেমিং মাউসের কথা বললেই চোখে RGB কালার এবং সুন্দর স্টাইল। কালার এবং স্টাইল এর সাথে থাকতে হবে গেমিং মাউসে সম্পূর্ণ গুণাগুণ। অনেক মাউস দেখা যায় বাহির থেকে সুন্দর স্টাইল ও আকর্ষণীয় কালার কিন্তু গেমিং এ তেমন পারফর্মেন্স করতে পারে না। তাই গেমিং মাউসে কালার এর সাথে গেমিং করার জন্য পর্যাপ্ত DPI, Polling rate, Sensitivity থাকতে হবে।

[★★]  গেমিং মাউস কেনার আগে যে বিষয় গুলো জানতে হবে ?

আরো পড়ুনঃ 

তা না হলে কেনার পরে একদিকে যেমন গেমিং এর পারফর্মেন্স এর সাধ পাবেন না অন্যদিকে পুরো টাকাই জলে যাবে। সুতরাং গেমিং মাউস কেনার আগে এই তথ্য গুলো আপনার জেনে তারপর মাউস কিনতে যাবেন। এই পুরো আর্টিকেলটি পড়লে আপনি গেমিং মাউস সম্পর্কে সব ধারনা পেয়ে যাবেন।

গেমিং মাউসে DPI কি ? DPI কেন প্রয়োজন?

মাউস কেনার আগে মাউসের DPI যেনে নেওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। DPI এর মানে হল Dots per Inch. অনেক সময় একে Pixels per inch ও বলে থাকে। একটি সাধারন মাউসের DPI হয়ে থাকে ৮০০-১৬০০ । অন্যদিকে একটি গেমিং মাউসের DPI ৪,০০০- ২০,০০০ পর্যন্ত হয়ে থাকে। এখন প্রশ্ন আসতে পারে ১৬০০ DPI এর মানে কি? এর মানে হল, আমরা যদি আমাদের মাউস ১ ইঞ্চি দূরে সরাই তাহলে মনিটের মাউসের কার্সর ১৬০০ পিক্সেল দূরে যাবে। তাই DPI যত বেশি হবে মাউস অল্প সরাতেই কার্সর অনেক বেশি দূরে সরে যাবে।

ফুল স্কিনের গেমগুলোতে বিশেষ করে একশন গেম যেমন ফ্রী ফায়ার ,পাবজি তে মাউসের সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে। ক্যারেক্টারকে বিভিন্ন দিকে নাড়াচাড়া ও কন্ট্রোলের বেশির ভাগই মাউস করে থাকে। তাই এইসব গেম গুলোতে মাউসে DPI অনেক বেশি দরকার এবং প্রয়োজন হয়ে থাকে। বিভিন্ন গেমের জন্য বিভিন্ন ধরনের DPI এর মাউস প্রয়োজন হয়ে থাকে। তাই গেমিং মাউসে DPI কন্ট্রোলের ব্যবস্থা থাকে। আপনি চাইলে আপনার মন মত মাউসের DPI কমাতে বাড়াতে পারবেন। যা সাধারন মাউসে সম্ভব নয়।

[★★]  RAM কি ? কিভাবে RAM কাজ করে?

গেমিং মাউসে Polling Rate কি ? কেন Polling Rate দরকার?

মাউসের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল polling rate. অনেকেই জানে না মাউসে polling rate কি এবং কিভাবে কাজ করে থাকে। Polling Rate হল কম্পিউটারের সাথে মাউসের ডেটা ট্রান্সফার এর স্পিড বা কমিউনিকেশন স্পিড। এই স্পিড যত বেশি থাকতে মাউস ততই দ্রুত কাজ করবে। অনেক সময় দেখা যায় মাউস নড়ানোর কয়েক সেকেন্ড পরে কার্সর নড়ে। এই সমস্যাটি হয়ে থাকে Polling Rate কম থাকার কারনে বা কোনো কারনে এতে সমস্যা দেখা দিলে।

সাধারন মাউস এবং গেমিং মাউসের Polling Rate এর মধ্যে পার্থক্য

একটি সাধারণ মাউসের Polling Rate হয়ে থাকে ১২৫ হার্জ প্রতি ৮ মিলি সেকেন্ডে অপরদিকে একটি গেমিং মাউসের Polling Rate হয়ে থাকে ১০০০ হার্জ প্রতি মিলি সেকেন্ডে। এই যে বিশাল একটা পার্থক্য , এই পার্থক্য নিয়ে কিন্তু গেমিং করা যায় না। তাই সব সময় মাউস কেনার আগে ভালো করে মাউসের Polling Rate জেনে নিতে হবে। যদি DPI ও Polling Rate বেশি থাকে এবং RGB কালার না থাকে তারপরেও আপনি গেমিং এর ফুল পারফর্মেন্স পাবেন। কালার টা এক্ষেত্রে বাহ্যিক সৌন্দর্য হিসেবে কাজ করে তাছাড়া আর কিছুই না।

[★★]  ফেইসবুক মার্কেটিং কি ? ফেইসবুক মার্কেটিং কিভাবে করবো ?

\"গেমিং গেমিং মাউস কেনার আগে যে বিষয় গুলো জানতে হবে এবং করনীয়

Movement detection technology

আমরা যখন আমাদের মাউস নাড়াচড়া করি , এই নাড়াচড়া ডিটেক্ট করার যে প্রযুক্তি কাজ করে তাকে Movement Detection technology বলে। বর্তমানে দুই ধরনের Movement Detection এর মাউস পাওয়া যায় তা হলঃ

  • অপটিকেল
  • লেজার

সাধারন এবং বাজেট গেমিং মাউসের ভিতরে অপটিকেল টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। লেজার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়ে থাকে উচ্চ বাজেটের গেমিং মাউসের ভিতরে। আপনার বাজেট যদি অনেক বেশি থাকে , তাহলে আমি সাজেস্ট করব লেজার প্রযুক্তির গেমিং মাউস নেওয়ার জন্য। আর স্বল্প বাজেট হলে অপটিকেল প্রযুক্তির মাউস কেনার জন্য।

[★★]  Elementor ওয়েবসাইট ডিসাইন

ক্যাবল বিহীন নাকি ক্যাবল যুক্ত মাউস কিনবেন?

ওয়্যারলেস মাউস বর্তমানে অনেকের কাছেই পছন্দের একটা বিষয়। তবে গেমিং এর জন্য ওয়ারলেস মাউস কেনার কথা ভাবলে মোটামুটি একটা ভালো বাজেট লাগবে মাউসের জন্য। সব কোম্পানির ওয়ারলেস মাউস ভালো নয়। তার জন্য জনপ্রিয় কয়েকটি ব্র্যান্ডের মাউস আপনাকে পছন্দ করতে হবে। এখন প্রশ্নে আসি গেমিং এর জন্য ওয়্যারলেস নাকি ওয়ারড মাউস নিব?

ওয়ারড মাউস খুব দ্রুত কম্পিউটারের সাথে যোগাযোগ করতে পারে , যা ওয়্যারলেস মাউস পারে না। তবে উচ্চ বাজেটের মাউস গুলো ওয়ারড মাউসের মতই দ্রুত কাজ করে থাকে। তাই স্বল্প বাজেটের মাউস নিতে চাইলে ওয়ারড মাউস এই সবচেয়ে বেস্ট হবে।

গেমিং মাউস মানেই একটা RGB লাইটিং থাকা চাই। বর্তমানে সব গেমিং মাউসেই RGB কালার থাকে। তাই কালার এর ব্যাপারটা একান্তই আপনার ব্যক্তিগত বিষয়। তাছাড়া গেমিং মাউসে পর্যাপ্ত বাটন এবং আপনার হাতের সাথে মানাসই কিনা তা সব সময় দেখে কিনবেন।

www.tachbangla.com

 

Leave a Comment